বাবুগঞ্জে ঘুড়ি ওড়ানোয় মেতে উঠছে কর্মহীন মানুষ
সুমন হোসেন শাওন- বাবুগঞ্জ (বরিশাল): প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস বাঙালিকে কয়েকটি প্রাণের উৎসব থেকে বঞ্চিত করেছে। তবে মজার খেলা ‘ঘুড়ি ওড়ানো’ থেকে বঞ্চিত করতে পারেনি। লকডাউন থাকায় শিশু ও যুবকদের পাশাপাশি বিভিন্ন বয়সের কর্মহীন লোকজনও এই ঘুড়ি ওড়ানোয় মেতে উঠছে। বিকেল হলেই শুরু হয় ঘুড়ি ওড়ানো। আকাশের দিকে তাকালেই দেখা যায় বিভিন্ন রং এর ঘুড়ি উড়ছে। এমন চিত্র এখন বাবুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
কেউ নিজ এলাকার খেলার মাঠ, কেউ নিজ বাড়ির পাশে ফাকা জায়গাতে ঘুড়ি উড়াচ্ছে। কেউ আবার ঘুড়ি কাটাকাটির প্রতিযোগিতা করছে।
নিজ বাড়িতেই ঘুড়ি তৈরি করে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঘুড়ি কারিগররা। একটি ঘুড়ি তৈরি করতে তার সময় লাগে প্রায় ৮ থেকে ১০ মিনিট।
বাবুগঞ্জে সপ্তাহখানিক আগে শুরু হয় ঘুড়ি ওড়ানো। ঘুড়ি তৈরির প্রতিটি কাগজ বিক্রি হতো ৩ টাকায়। পরে তা বেড়ে ৫ টাকা থেকে ৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাবুগঞ্জ উপজেলার খানপুরা এলাকার ইব্রাহীম মল্লিক ও ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মাসুম জানান, ঘুড়ি ওড়ানোটা নেশা না হলেও বর্তমান কারণে কর্মহীন হয়ে বেকার না ঘুরে ঘুড়ি উড়িয়ে সময় কাটাচ্ছি। বিকেলটা অনেক আনন্দের কেটে যাচ্ছে। পাশাপাশি আকাশে অজানা কারো সাথে ঘুড়ি লড়াই করছি। এটি এক অন্যরকম অনুভুতি।
প্রানঘাতী করোনার প্রাদুর্ভাব কেটে একদিন আবার স্বাভাবিক হবে বাংলাদেশ, স্বাভাবিক হবে বাবুগঞ্জবাসী। আবার স্বাভাবিক ভাবে মনের আনন্দে মেতে উঠবে শিশু, যুবকরা এমনটাই প্রত্যাশা সবার।